কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ জেনে নিন

কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে আপনি জানতে ও ভ্রমণ করতে আগ্রহী হন, তাহলে আজকের আর্টিক্যালটি শুধু মাত্র আপনার জন্য। এছাড়াও কক্সবাজার বিচের নাম সম্পর্কে আমি আপনাকে বিস্তারিত সকল তথ্য জানানোর চেষ্টা করব।
কক্সবাজার দর্শনীয় সকল স্থান সমূহ
সেই সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে বিভিন্ন ধরেনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিক্যালে। সুতরাং সময় ক্ষেপন না করে চলুন জেনে নেই বিস্তারিত তথ্য।

ভূমিকা

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ নীলা ভূমি হল আমাদের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। এখানে আপনি প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার মধ্যে দিয়ে আপনার সকল ক্লান্তির অবসান ঘটাতে পারবেন এবং সেই সাথে এক অন্য রকম অনুভূতি উপভোগ করতে পারবেন। আজকের আর্টিক্যালের মধ্যমে আমরা জানবো কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে।
এখানে আপনি দূর থে মেঘের মতো ভেসে সমুদ্রের স্রোত ও এর গর্জন আপনাকে আপনার অজান্তে হারিয়ে নিয়ে যাবে কোনো এক রঙিন কল্পনার জগতে। এই সমুদ্র সৈকতের বীচে বসে আপনি সূর্য অস্তের অপরূপ, মন মুগ্ধময় সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাবেন খুবই কাছে থেকে, যা খুবই নয়নাভিরাম।

সূর্য অস্তের সময় মনে হয় যেন বিশাল সমুদ্র যেন তার অতল গহ্ববরে সূর্যকে টেনে নিচ্ছে বা সূর্য যেন সমুদ্রের অতল গহ্ববরে হারিয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে প্রকৃতি তার রূপের যে খেলায় মেতে উঠে, সেটি দেখে নিমিষেই হৃদয়ের গহ্ববরে যে দুঃখ, কষ্ট, ক্লান্তি, অবসাদ রয়েছে তা কোথায় যেন হারিয়ে যায়।
এছাড়াও আপনি একটি ভ্রমণের মধ্যে দিয়ে যে শিক্ষা গ্রহণ করবেন বা অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন তা হাজার হাজার বই পড়ার মাধ্যমে অর্জন কখনোই সম্ভব নয়। ভ্রমণের মধ্যে দিয়ে আপনি প্রকৃতির কাছে থেকে অনেক শিখবেন, যা অন্য কোনো ভাবে সম্ভব নয়।

কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ 

কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই সমুদ্র সৈকতের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে বেশি আগ্রহী হয়ে থাকি। তাহলে চলুন জেনে নিই কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য-

রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড: কক্সবাজারের অন্যতম জনপ্রিয় আকর্ষনীয় স্থান হল এই ফিস ওয়ার্ল্ড। এখানে আপনি সমুদ্রের তলেদেশের সকল মাছ ও প্রাণীদের দেখতে পাবেন। সেই সাথে এখানে প্রবেশ করলে সমুদ্রের তলদেশের অনুভূতি পাবেন। কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ এর মধ্যে অন্যতম।

মহেশ্বখালী: কক্সবাজার জেলার মহেশ্বখালী উপজেলা বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ উপজেলা। এই দ্বীপে ভ্রমণের জন্য আপনাকে স্পিস বোর্ডে করে ভ্রমণ করতে হবে। এই দ্বীপের নয়নাভীরাম প্রকৃতির রঙ, রূপ, সৌন্দর্য ও বৈচিত্র আপনাকে মুগ্ধ করবে।

এই দ্বীপে আপনি সুটিং ব্রীজ নামক পর্যটন কেন্দ্র দেখেলে আপনি বিমোহিত হয়ে যাবেন। এছাড়াও এখানে রয়েছে মৈনাক পাহাড়ের উপরে রয়েছে আদিনাথ মন্দির। এছাড়াও এখানে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি দেখা পাবেন। সেই সাথে পেয়ে যাবেন মানসিক প্রশান্তি। এবং জানতে পারবেন এদের জীবন যাপন সম্পর্কে।

তবে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মহেশ্বখালী দ্বীপ যত না সুন্দর বা বৈচিত্রপূর্ণ তার চাইতে সুন্দর ও রোমাঞ্চকর হল কক্সবাজার থেকে স্পিসবোর্ডে করে সমুদ্রের বুক চিরে ছোট বড় সামুদ্রিক ঢেউ পাড়ি দিয়ে মহেশ্বখালী দ্বীপে যাওয়ার জল পথটি। যা প্রতিটি মুহূর্তে আপনাকে করবে বিমোহিত।

যা আপনাকে প্রতিটি মুহূর্তে রোমাঞ্চকর এক অনুভূতি দিবে। সুতরাং আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিপাসু ও রোমাঞ্চকর হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনি মহেশ্বখালী দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারেন। এটি কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র।

কক্সবাজার বিচের নাম

লাবনী বীচ: কক্সবাজারের অন্যতম জনপ্রিয় বীচ হল লাবনী বীচ। এর বালুকাময় বীচের সাথে সমুদ্রের জোয়ার ভাটার খেলা আপনাকে প্রতিটি মুহূর্তে এর রঙ, রূপ ও সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে। এই বীচের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্তিই নয়নাভিরাম।  যা আপনাকে প্রতিটি মুহূর্তে আপনাকে করবে বিমোহিত।

সুগন্ধা বীচ: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বীচ গুলোর মধ্যে আরও একটি জনপ্রিয় বীচ হল সুগন্ধা বীচ। এখানেও আপনি বীচে বসে এর প্রকৃতির রূপ, সৌন্দর্য ও বৈচিত্র উপভোগ করতে পারবেন। সেই সাথে শুনতে পাবেন সমুদ্রের গর্জন। যা আপনাকে প্রতিটি মুহূর্তে করবে বিমোহিত।

কলাতলী বীচ: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের আরও একটি অন্যতম আকর্ষনীয় জনপ্রিয় বিচ হল কলাতলী সী বিচ। এই বীচটি সব সময় পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। এই বীচেরও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে প্রতিটি মুহূর্তে করবে বিমোহিত। 

হিমছড়ি বীচ: ভ্রমণ পিপাসুদের কক্সবাজারের অন্যতম পছন্দের স্থান হল হিমছড়ি বীচ এবং পাহাড়। এখানে পাহাড় এবং সমুদ্রের এক মিলন বন্ধন পাওয়া যায়। দূর থেকে দেখলে মনে হই সমুদ্রের মাঝে শীর উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে হিমছড়ি পাহাড়। যা আপনাকে প্রতিটি মুহূর্তে করবে বিমোহিত ও চক্ষুশীল অনুভূতি এনে দিবে।

টেকনাফ বীচ: কক্সবাজার জেলায় আরও একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বীচ হল টেকনাফ সী বীচ। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত একটি বীচ। যা ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের সব সময় কাছে টানে।

হিমছড়ি দর্শনীয় স্থান

কক্সবাজার থেকে একটু দূরে টেকনাফের পথেই হিমছড়ির অবস্থান। এখানে আপনি পাহাড় ও সমুদ্রের এক মিলন বন্ধন লক্ষ করবেন। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন সমুদ্রের বুকে উচ্চ শীরে দাঁড়িয়ে আছে হিমছড়ি পাহাড়। এর পাশেই বিশাল সমুদ্র।

হিমছড়ি পাহাড় এবং হিমছড়ি বীচের রঙ, রূপ, সৌন্দর্য ও বৈচিত্র দেখে আপনি যতটা না মুগ্ধ হবেন, তারচেয়ে অনেক বেশি মুগ্ধ হয়ে কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার মেরিন ড্রাইভ সড়কের অপরূপ নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে।

এই পথের এক পাশে রয়েছে পাহাড় এবং অন্য পাশে রয়েছে বিশাল সমুদ্র।মাঝে মাঝে লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন পাহাড়ী ঝর্ণ অপরূপ সৌন্দর্য।মেরিন ড্রাইভ সড়কের রঙ, রূপ, সৌন্দর্য ও বৈচিত্র যেন চিরো যৌবনা। যা আপনাকে প্রতিটি মুহূর্তে করবে বিমোহিত। সেই সাথে আপনার চক্ষু শীতল করবে।
এই সড়কের রূপ আপনাকে বিমোহিত করে তুলে । যা আপনাকে বার বার ছুটে নিয়ে যাবে তার রূপের মায়াজালের মাঝে। সুতরাং আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই হিমছড়ি ভ্রমণ করবেন।

এছাড়াও এর আশেপাশে লক্ষ্য করলে দেখবেন বর্নীল সাজে সাজানো বেশ কিছু রিসোর্ট যা ভ্রমণ পিপাসু হাতছানী দেয়। আপনি চাইলে এসব নিরিবিলি রিসোর্টে রাত্রী যাপন করতে পারেন। এগুলোই হিমছড়ি দর্শনীয় স্থান।

কক্সবাজারের বিখ্যাত খাবার

প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের নিজেস্ব একটি সংস্কৃতি রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে বাহারী রকম খাবারের মেনু। আজকের আর্টিক্যালের মাধ্যমে কক্সবাজারের বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে জেনে নিবো। 
  • চিংড়ি ও সবজি
  • বাঁশের তরকারি
  • বলা পিঠা
  • মুন্ডি
  • মোচা ভাত
  • ভর্তা
  • লইট্যা ফ্রাই
  • ছুরি শুটকি
  • কাঁকড়া ফ্রাই
  • মাছের ফ্রাই
  • মংশো মরিচ
  • মুরগি ইত্যাদি।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আমরা ইতিমধ্যে আজকের আর্টিক্যালের মাধ্যমে কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছি। আপনি যদি একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার কক্সবাজারের উপরে উল্লেখিত স্থানে ভ্রমণ করা উচিত। এতে করে আপনি প্রকৃতির খুবই কাছে যেতে পারবেন।

এই আর্টিক্যালটি পড়ার মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অনুগ্রহ করে আপনার পরিচিতদের নিকট অনুগ্রহ করে শেয়ার করে দিবেন। তাহলে তারাও আপনার মতো উপকৃত হতে পারবে। এতো কষ্ট ,ধৈর্য ও আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আর্টিক্যালটি সম্পূর্ণভাবে পড়ার জন্য এবং শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

আর আপনি যদি সকল বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কানন২৪ এর নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন।প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়;

comment url