ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকামের উপায়

ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকামের উপায় সম্পর্কে আপনি জানতে আগ্রহী তাহলে আজকের আর্টিক্যালটি শুধু মাত্র আপনার জন্য। সুতরাং ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে ও কি কি? এ সম্পর্কে আমি আপনাকে বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করব।
ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকামের উপায়
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম ইনকাম করার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে এই আর্টিক্যালটি সম্পূর্ণভাবে মনযোগ সহকারে পড়ুন। আপনি এখানে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম বা আয় করার উপায় এবং ফ্রিল্যাস্নিং নিয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকামের উপায়

ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকামের গোপন  উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পূর্বে ফ্রিল্যান্সিং কি কাকে বলে সেটি জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-
 
ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত বোঝায়  এমন একটি পেশা যেটি আপনি আপনার ঘরে বসেই ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের ক্লায়েন্ট এর চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন এবং সেই কাজের পারিশ্রমিক বা অর্থ আপনি ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে আপনার পকেট পর্যন্ত আনতে পারে খুব সহজেই ।

ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে ও কি কি?

ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকামের উপায় গুলো জেনে নেওয়ার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টর গুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের দুনিয়ায় বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে বা বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে যেখানে আপনি ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের যে কোন কাজ পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের সকল ধরনের কাজ আপনি করতে পারবেন।
যেমন- ওয়েব ডেভেলপিং গ্রাফিক্স ডিজাইন ডিজিটাল মার্কেটিং সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ আপনি অতি সহজে ঘরে বসেই করে দিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কি কি ধরনের কাজ করা যায় তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • এসইও
  • কনটেন্ট মার্কেটিং বা আর্টিকেল রাইটিং
  • ইমেল মার্কেটিং
  •  ফেসবুক মার্কেটিং
  • ইউটিউব মার্কেটিং সহ সকল ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ভিডিও মার্কেটিং
  • ই-কমার্স মার্কেটিং
  • ডাটা এন্ট্রি
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  •  ভিডিও এডিটিং
  • অ্যানিমেশন ভিডিও তৈরি
  • সাইবার সিকিউরিটি অথবা ইথিক্যাল হ্যাকিং
  • এগুলো ছাড়াও অন্যান্য অনেক কাজ বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেসের বিভিন্ন সময় পাওয়া যায়

ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত

ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকামের উপায় গুলো জেনে নেওয়ার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত সেটি জেনে নেওয়া যাক।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ও ফ্রিল্যান্সিং এর দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছে এজন্য বলা যায় বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা অনেক তবে লক্ষণীয় বিষয় এই যে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বেশি হওয়ার মূল কারণ হলো বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেশি।

আর যে দেশের জনসংখ্যা বেশি সে দেশের বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট যেমন ফেসবুক ইউটিউব বা ইমেল একাউন্ট এর সংখ্যা বেশি থাকাটাই স্বাভাবিক ঠিক সেরকম ভাবে অনেকেই কোন ধরনের অভিজ্ঞতা ছাড়াই এসব মার্কেটপ্লেসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন।
তবে এখন বাংলাদেশে অনেক ভালো মানের ফ্রিল্যান্সার আছে যারা প্রতি মাসে ফ্রিল্যাংন্সিয়ের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে এবং সেই সাথে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে করছেন আরও সমৃদ্ধ। কেননা ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন সাইট থেকে যেসব অর্থ উপার্জন করেন সেসব অর্থ ডলার হিসেবে আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোতে আসে।

ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল না কি হারাম

ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকামের উপায় গুলো জেনে নেওয়ার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল না কি হারাম সেটি জেনে নেওয়া যাক। প্রতিটি জায়গায় যেমন ভালো এবং খারাপ দুটি দিক থাকে ঠিক ফ্রিল্যান্সিং জগতেও ভালো এবং খারাপ দুইটি দিকই রয়েছে এখন আপনি পছন্দ করবেন যে কোনটা করবেন আর কোনটা বর্জন করবেন।

এসব কারণে অনেকেই মনে করতে পারেন যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে যে অর্থ উপার্জন আমরা করে থাকি বা অনেকেই করে থাকেন হয়তো বা এই টাকা হালাল না হারাম এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে অনেকেই ভোগে থাকেন।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এই যে, ফ্রিল্যান্সিং যদি আপনি বৈধ উপায়ে করে থাকেন তাহলে এটি অবশ্যই আপনার ১০০% হালাল অর্থ উপার্জন। আর যদি আপনি অবৈধভাবে কিছু করে থাকেন যেমন কিছু খারাপ সাইট থেকে বা অন্য কোন ভাবে এক কথায় অবৈধ কোন পন্থায় যদি ইনকাম করে থাকেন তাহলে সেটা হারাম হবে।সেটা ফ্রিল্যান্সিং জগতে হোক অথবা বাস্তব জগত থেকে।

চাকরি ভালো নাকি ফ্রিল্যান্সিং ভালো

ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকামের উপায় গুলো জেনে নেওয়ার সাথে সাথে চাকরি ভালো নাকি ফ্রিল্যান্সিং ভালো সেটি জেনে নেওয়া যাক। অনেকেই এই দ্বিধায় ভোগেন যে চাকরি করা ভালো নাকি ফ্রিল্যান্সিং করা ভালো আসলে ফ্রিল্যান্সিং এবং চাকরির ব্যাপারটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করার মতই একটি ব্যাপার।

চাকরি করলে আপনি যেমন সরকারি অথবা বেসরকারি যে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে থাকেন সেখানে আপনার সকাল দশটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত অফিস করতে হয় এর বিনিময়ে আপনি মাস শেষে মাসিক বেতন পেয়ে থাকেন।
কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ে জগৎটা হল এমন যে আপনি এখানেও চাকরি করবেন। কিন্তু এখানে আপনি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটের আপনার সময় মত যেকোনো কাজ করতে পারবেন। এখানে আপনার চাহিদা মতো কাজ করতে পারবেন। সাধারণভাবে বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং ও এক ধরনের চাকরি। এখানে শুধু আপনি আন্তর্জাতিক মার্কেটে বা কোম্পানিগুলোতে কাজ করতে তে পারবেন।

কিন্তু এখানে মজার ব্যাপার হলো এখানে আপনি আপনার ইচ্ছামত যখন খুশি তখন কাজ করতে পারবেন সেটা অবশ্যই একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আপনি যদি একটি চাকরি করেন তাহলে আপনি আপনার সময় মতো কাজে করতে পারবেন না, আপনাকে আপনার প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

আরো একটি বড় পার্থক্য হল চাকরি করলে আপনি মাস শেষে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থই উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু যদি আপনি ফিন্যান্সিং করেন সেক্ষেত্রে আপনার উপার্জনের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই ,এখানে আপনি চাইলে আপনার ইচ্ছামত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ 

তাহলে চলুন জেনে নিই ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে -

আপনি যদি আপনার চারপাশে ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখেন তাহলেই ফ্রিল্যান্সিং এর বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনি ভালোভাবে লক্ষ্য করলেই দেখবেন যারা সঠিকভাবে সঠিক নিয়মে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন তারা প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে থাকেন।

এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে গুগল অথবা ইউটিউব অথবা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন যে, ফ্রিল্যান্সিং করে যারা সফল হয়েছেন সেসব ফ্রিল্যান্সারদের গল্প।

আপনি যদি এখন সঠিকভাবে লক্ষ্য করে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন এই ফ্রিল্যান্সিং জগতের ভবিষ্যৎটা কেমন উজ্জ্বল হতে পারে আপনার আমার এবং সকলের জন্য।

এছাড়াও আমরা অনেক ফ্রিল্যান্সারদের দেখে থাকি যারা ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লক্ষ্য লক্ষ্য অর্থ উপার্জন করে থাকেন। এ সকল বিষয়বস্তু পড়ে এতক্ষণ অবশ্যই আপনি বুঝতে পারছেন যে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভবিষ্যৎ কেমন উজ্জ্বল।

ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় তবে খুব বেশি পরিসরে নয় অতি অল্প পরিসরে আপনি যদি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে কিছু কাজ করতে পারবেন ফিন্যান্সিং জগতের। 

কিন্তু আপনি যদি প্রকৃপক্ষে একজন ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে অবশ্যই পিসি বা ল্যাপটপ থাকতে হবে। তাহলে অবশেষে বুঝতেই পারছেন ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শেখা যায়

ফ্রিল্যান্সিং আপনি অনেক মাধ্যমেই শিখতে পারেন তবে অবশ্যই আপনার জন্য কোনটি উচিত হবে অনলাইন কোর্স নাকি অফলাইন কোর্স সেটা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার।প্রথমে দেখতে হবে আপনি কিভাবে ভালো শেখেন কোন কিছু অনলাইনে দেখে নাকি অফলাইনে ক্লাসের মাধ্যমে।

তবে যে কোন জায়গা থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখা থেকে অবশ্যই সাবধান থাকবেন। কারণ অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে তেমন উপার্জন করতে পারে না , কিন্তু কোর্স বিক্রি করে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করে নেয়।

সুতরাং ভেবে দেখবেন যে নিজে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সফল না, আপনি যদি তার কাছ থেকে ফ্রল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে আপনি কতটা সফল হবেন।এই জন্য যে প্রতিষ্ঠানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন অবশ্যই ভর্তি হওয়ার পূর্বে ভালো ভাবে জেনে নিবে সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে। তার পরেই ভর্তি হবেন।

এছাড়াও আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখার মাধ্যমে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক বিষয় শিখতে পারবেন। কারন এখানে অনেকেই ফ্রিতে অনেক কিছু শিখায়। তবে একটি বিষয় ভেবে দেখবেন যে, যদি ইউটিউবের মাধমে ফ্রিতে সব কিছু শিখা যায় তাহলে তো সবাই বিশাল বড় বড় ফ্রিল্যান্সার হয়ে যেতো তাইনা ।

একটি বিষয় ভাবুন তো আপনি কেন একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যান? আজকাল তো ইউটিউব বা বিভিন্ন জাইগায় রান্নার বিভিন্ন রেসিপি দিয়ে থাকে তাহলে কেন নিজেই রান্না করে না খেয়ে রেস্টুরেন্টে কেনো খেতে যান?এর দুইটি কারন থাকতে পারে এক হইতো আপনার হাতে তেমন সময় নেই। 

দুই রেস্টুরেন্টের সেফের হাতের রান্নার স্বাদ আরো বেশি মজাদার এই জন্য যান। কিন্তু আপনি তো আর সব রেস্টুরেন্টে যান না তাই তো নির্দিষ্ট কিছু রেস্টুরেন্টে যান কেননা তাদের খাবারের স্বাদ অসাধারণ। আসা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।তাহলে বুঝতেই পারছেন ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শেখা যায়।

শেষ কথা

ইতি মধ্যে আমরা ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকামের উপায়  সম্পর্কে অনেক বিষয় জেনে ফেলেছি। তাহলে এখন যদি আমরা সঠিক ভাবে সঠিক নিয়মে কাজ শিখে যদি কাজ করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের ভালো কিছু করা সম্ভব। আপনিও ফ্রিল্যান্সিং শিখে আন্তর্জাতিক মার্কেট প্লেসে কাজ করতে চাইলে দেরি না করে এখন থেকেই ফ্রিল্যান্সি শিখা শুরু করুন।

এই আর্টিক্যালটি পড়ার মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অনুগ্রহ করে আপনার পরিচিতদের নিকট অনুগ্রহ করে শেয়ার করে দিবেন। তাহলে তারাও আপনার মতো উপকৃত হতে পারবে। এতো কষ্ট ,ধৈর্য ও আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আর্টিক্যালটি সম্পূর্ণভাবে পড়ার জন্য এবং শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। 

আর আপনি যদি সকল বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কানন২৪ এর নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন।প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়;

comment url